বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি : পরিবেশ রক্ষায় প্রবাসী স্বজন শ্রী ইসমাইল চক এসোসিয়েশন


admin প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৬, ২০২৫, ৬:০৬ অপরাহ্ন /
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি : পরিবেশ রক্ষায় প্রবাসী স্বজন শ্রী ইসমাইল চক এসোসিয়েশন

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি : পরিবেশ রক্ষায় প্রবাসী স্বজন শ্রী ইসমাইল চক এসোসিয়েশন

রিপোর্ট: আহমেদ মামুন
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৃক্ষ নিধনের কারণে আবহাওয়ার চিরচেনা চরিত্র আজ বদলে যাচ্ছে। তীব্র গরমে দেশজুড়ে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এ অবস্থায় পরিবেশ রক্ষায় এবং সমাজের কল্যাণে গাছ লাগানো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রবাসী স্বজন শ্রী ইসমাইল চক এসোসিয়েশন স্থানীয় পর্যায়ে একটি ব্যাপক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এলাকার মসজিদ, কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদরাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জমিতে উন্নত জাতের ফলজ গাছের চারা রোপণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

গাছ লাগানো শুধু পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে না, বরং এটি একটি সাদাকায়ে জারিয়াহ। ইসলামেও বৃক্ষরোপণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
“যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তবে তা সেই ব্যক্তির জন্য সাদকারূপে গণ্য হবে।” (সহীহ বুখারী: হাদীস-২৩২০, সহীহ মুসলিম: হাদীস-১৫৫৩)

এছাড়া উন্নত জাতের ফলজ গাছ লাগানোর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচিত হবে। পরিবেশ সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সহায়তা—দুটো লক্ষ্যেই প্রবাসী স্বজনশ্রী-ইসমাইলচক এসোসিয়েশন কাজ করছে।

অনুদানের জন্য আহ্বান

আমাদের ৬নং ওয়ার্ডের প্রবাসী ভাই-বোনদের কাছে এ উদ্যোগকে সফল করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। যারা সেচ্ছায় অনুদান দিতে ইচ্ছুক, তারা এসোসিয়েশনের এডমিন সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

যাঁরা উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত

মোঃ তোফায়েল আহমেদ (স্পেন)

মোঃ মামুন মিয়া (ইতালি)

রুহিদ মিয়া (লন্ডন)

মাসুম ইসলাম (লন্ডন)

সায়েখ আহমেদ সাজু (ইতালি)

জিলু মিয়া (ইতালি)

জাবির মিয়া (ইতালি)

সুমন আহমেদ (মালেশিয়া)

হারুন মিয়া (আমেরিকা)

হুসেন আহমেদ (ইতালি)

আব্দুর রাহিম (লন্ডন)

জাবিরুল ইসলাম (মালেশিয়া)

সেবুল মিয়া (ইতালি)

তোফায়েল আহমেদ (গ্রিস)

সুমন আহমেদ (লন্ডন)

উল্লেখ্য: ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ইনশা’আল্লাহ, আগামী বছরগুলোতেও এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এবং আরও বেগবান হবে।

প্রকৃতি বাঁচলে, আমরা বাঁচব—গাছ লাগানো হোক আমাদের অঙ্গীকার।